ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তেহরানের শত্রুরা দেশটির পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে আক্রমণ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু তারা নতুন পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষমতা থেকে দেশটিকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের পর বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বাস করে যে, ইসরায়েল বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর আক্রমণ শুরু করতে পারে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পেজেশকিয়ান বলেন, তারা আমাদের হুমকি দেয়, তারা পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করবে। যদি তোমরা (শত্রু) ১০০টিতে আক্রমণ করো, তাহলে আমরা আরও এক হাজার পারমাণবিক স্থাপনা তৈরি করব। তোমরা ভবন এবং স্থানগুলোতে আঘাত করতে পার. কিন্তু যারা এটি নির্মাণ করে তাদের ধ্বংস করতে পারবে না।
এদিকে একই দিন ইরানের বিমানবাহিনীর কমান্ডার হামিদ ওয়াহেদি বলেছেন, আমরা সব বন্ধু এবং শত্রু উভয় দেশকেই বলছি- আমাদের দেশের মতবাদ প্রতিরক্ষামূলক কিন্তু আমরা শত্রুর যে কোনো আক্রমণের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শক্তি দিয়ে জবাব দেব।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল এ বছর ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা করার পরিকল্পনা করছে। তেহরানের সাম্প্রতিক ক্ষতির পর ইসরায়েল তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শেষ মাসে একটি গোয়েন্দা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শুরুর দিনগুলোতেও একই ধরনের বিশ্লেষণ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
মার্কিন দুই কর্মকর্তার মতে, ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েল মনে করে বাইডেনের চেয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানে হামলায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলায় ইরানকে সমর্থন দিতে পারেন।
এদিকে ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারে- এ ভয় ইসরায়েলের রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ও অস্ত্রের সহায়তা চায় তারা। তবে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময়মতো সহযোগিতা পাবে না বলে মনে করছে ইসরায়েল।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে ইরানও পাল্টা জবাব দেবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের হুমকি দেয়, আমরাও তাদের হুমকি দেব। যদি তারা আমাদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে আমরা তাদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করব।
মন্তব্য করুন