ইসরায়েল এ বছর ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা করার পরিকল্পনা করছে। তেহরানের সাম্প্রতিক ক্ষতির পর ইসরায়েল তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শেষ মাসে একটি গোয়েন্দা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শুরুর দিনগুলোতেও একই ধরনের বিশ্লেষণ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
মার্কিন দুই কর্মকর্তার মতে, ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েল মনে করে বাইডেনের চেয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানে হামলায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলায় ইরানকে সমর্থন দিতে পারেন।
এদিকে ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারে- এ ভয় ইসরায়েলের রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ও অস্ত্রের সহায়তা চায় তারা। তবে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময়মতো সহযোগিতা পাবে না বলে মনে করছে ইসরায়েল।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে ইরানও পাল্টা জবাব দেবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের হুমকি দেয়, আমরাও তাদের হুমকি দেবো। যদি তারা আমাদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে আমরা তাদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করবো।
সম্প্রতি ইরান তাদের ‘গাজা’ ড্রোন উন্মোচন করেছে। এটি একসঙ্গে ১২টি বোমা বহন করতে সক্ষম এবং ৪ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই শক্তিশালী ড্রোন ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এটি দেশটির সীমান্তের বাইরেও হামলা চালাতে সক্ষম।
এ ছাড়া ইরান তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে বিপুল অগ্রগতি করেছে। ‘ইতেমাদ’ নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানতে সক্ষম, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন