গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ও ইসরায়েল জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিনিময়ের অংশ হিসেবে পাঁচ দফায় ইসরায়েলি জিম্মিদের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জন হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে ৫৫০ জন মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় ফিরে গেছেন। খবর আল জাজিরার।
যুদ্ধবিরতির চুক্তির মধ্যে একাধিক পর্যায়ের আলোচনা চলছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা, গাজা দখল ও ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিষয়ে কিছু অস্থিরতা তৈরি করেছে। এর ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
১৯ জানুয়ারি থেকে চলমান চুক্তির আওতায় বন্দি-জিম্মি বিনিময়ের পঞ্চম দফা শেষ হলো। মুক্তি পাওয়া বন্দিদের নিরাপত্তা ও সতর্কতার সঙ্গে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর কিছু বন্দি চিকিৎসা সেবার জন্য মিশরে পাঠানো হবে। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ হামাসকর্মী রয়েছেন।
গাজার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক কিছুই অনিশ্চিত। বিশেষ করে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় 'জাতিগত নিধন' বা ফিলিস্তিনিদের জোর করে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কারণে। এতে হামাস আরও কঠোর অবস্থানে যেতে পারে। ফলে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
বর্তমানে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদি এটি সফল না হয়, তাহলে ইসরায়েল আবারও গাজায় হামলা চালাতে পারে। এর ফলে গাজার মানুষ আরও বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। এরইমধ্যে এ যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
মন্তব্য করুন