ফিলিস্তিনের গাজা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে তাদের হস্তান্তর করতে চলেছে হামাস। খবর রয়টার্সের।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাসের যোদ্ধারা তাদের অপহরণ করে। এদের মধ্যে কিব্বুৎজ বেরি থেকে জিম্মি হন ওহাদ বেন আমি ও এলি শারাবি। আরেকজন অর লেভিকে নোভা সংগীত উৎসব থেকে ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ তারা ইসরায়েলে ফিরবেন, এ তথ্য জানিয়েছে হামাস।
হামাসের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে। যার মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, ৫৪ জন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং যুদ্ধের সময় গাজায় আটক ১১১ জন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি ধারাবাহিক বন্দি বিনিময়ের সর্বশেষ ঘটনা।
হামাসের নেতৃত্বাধীন বন্দুকধারীরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণ করে। এ সময় প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় তারা।
হামাসের এ ধরনের হামলার বড় ধরনের মাসুল দিতে হয় গাজাবাসীকে। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েল গাজায় বিমান ও স্থলযুদ্ধ শুরু করার পর এ পর্যন্ত ৪৭,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার প্রায় সব স্থাপনা।
নানা বাধা সত্ত্বেও, মার্কিন সমর্থন এবং মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের জিম্মি বিনিময় কার্যকর হয়, যা কার্যকর হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে থেকে টিকে আছে।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার এবং উপত্যকার দখল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তোলার ট্রাম্পের আকস্মিক আহ্বানে শঙ্কিত গাজাবাসী। অনেকে বলছেন, সব জিম্মি মুক্ত হওয়ার আগেই চুক্তিটি ভেঙে যেতে পারে। বাধতে পারে নতুন সংঘাত।
মন্তব্য করুন