গাজায় দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। কাতারে ফিলিনিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল এ আলোচনা অংশ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র আবদুল লতিফ আল কানু টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, গাজার মানুষের জন্য আশ্রয়, সাহায্য সরবরাহ এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত মানবিক প্রোটোকলগুলোকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন এড়িয়ে যাওয়া এবং বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।
কানু বলেন, আমাদের জনগণের আশ্রয় এবং ত্রাণ একটি জরুরি মানবিক সমস্যা। দখলদারদের দ্বারা এ ধরনের কার্যক্রম এড়িয়ে যাওয়া বা বিলম্বিত হওয়ার বিষয়টি সহ্য করা হবে না।
এর আগে সংবাদমাধ্যম জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় শেষ হবে।
এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এ ছাড়া মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন