কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা থেকে দ্রুত জিম্মি মুক্তির তাগিদ রাশিয়ার

ফিলিস্তিনের জেনিনে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনা। ছবি : রয়টার্স
ফিলিস্তিনের জেনিনে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনা। ছবি : রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় জিম্মি থাকাদের দ্রুত মুক্তির তাগিদ দিয়েছে রাশিয়া। বলেছে, হামাস যোদ্ধাদের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে মনোযোগী হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানায় রয়টার্স।

সোমবার একজন জ্যেষ্ঠ রাশিয়ান কূটনীতিক ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পর গোষ্ঠীটির হাতে আটক একজন রাশিয়ান জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভের সঙ্গে মস্কোতে হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুকের ওই আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে জিম্মি মুক্তির কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের তাগিদ দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার পক্ষ থেকে আবারও জোর দিয়ে বলা হয়েছে- গাজা উপত্যকায় জিম্মি থাকা রাশিয়ান নাগরিক এ. ট্রুফানোভ এবং অন্যদের মুক্তির বিষয়ে হামাস নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আন্তঃ-ফিলিস্তিনি ঐক্য অর্জনের স্বার্থে যথাযথ কাজ চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। ওই সময় কিব্বুৎজ থেকে অপহৃত হওয়ার পর গাজায় এখনও বন্দি থাকা জিম্মিদের একজন আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ। ট্রুফানোভকে তার মা, দাদি এবং বান্ধবীসহ অপহরণ করা হয়েছিল। হত্যা করা হয় তার বাবাকে। পরে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। এ যুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি হামাস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ৪৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে।

১৯ জানুয়ারি গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এরপর শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা গাজায় ফিরতে শুরু করেন । সে সঙ্গে হতাহতদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে অনুভূত হয়। এমন সময় মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ আহতদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে। এ তালিকায় জাপানের নাম যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০০ ভূমিকম্পে কাঁপল ‘ইনস্টাগ্রাম’ দ্বীপ, পালাচ্ছে মানুষ

সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি

বাংলাদেশের ১ম প্লেটিং রিয়েলিটি শো ‘আর্ট অব প্লেটিং - সিজন ২’ তে অংশগ্রহণ করে ২০ লাখ টাকা জিতে নেওয়ার সুযোগ

বগুড়ায় বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার

ইউএনওর বদলি প্রত্যাহারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানার, থানায় অভিযোগ

নতুন প্রক্রিয়ায় মার্কিন ভিসার আবেদন, ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু

বিএনপি-জামায়াতের কারও ক্ষতি করিনি, ‍আদালতে সাবেক মন্ত্রী

ঢাকায় নামছে গোলাপি রঙের বাস

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা, বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া

সরকারি কর্মকর্তাদের কড়া সতর্কতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের

১০

পদত্যাগে বাধ্য করায় হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক

১১

বিএনপি একমাত্র দেশপ্রেমিক দল : আজাদ

১২

এ দেশে প্রতিভাকে মূল্যায়ন করা হয়‌ না : ড. আবেদ

১৩

কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সুখবর, গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে আমিরাত

১৪

ফারুক খানের ফেসবুকে স্ট্যাটাস, কারা অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা

১৫

নির্মাণকাজে ব্লকের ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা : পরিবেশমন্ত্রী

১৬

পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন

১৭

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ওষুধ এনে ধরা দুই ভারতীয়

১৮

‘বাসায় ভালো লাগত না, তাই টিকটকার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিলাম’

১৯

দিল্লিতে কাল কে জিতবে?

২০
X