সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তত ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে গত ৩০ জানুয়ারি তাকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
শারা বলেন, দেশটিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে যথাযথ পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণ জরুরি, যা গড়ে তুলতে দীর্ঘ সময় লাগবে। একই সঙ্গে জনগণের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নতুন ভোটার তালিকা প্রস্তুত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘যদি এই বিষয়টি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে না।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রূপরেখা ব্যাখ্যা করে শারা জানান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সিরিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন শাসন পরিচালিত হবে। এর পরেই জনগণ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও গণতান্ত্রিক সরকার পাবে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি কোন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শারা আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পাশাপাশি একটি সাময়িক আইনসভা (সংসদ) গঠন করা হবে, যা কার্যকর সংবিধানের স্থগিতাদেশের আওতায় পরিচালিত হবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই সম্মেলনের জন্য একটি প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হবে, যা দেশের বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চালাবে। এরপর, সম্মেলনে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
শারা জানান, জাতীয় সম্মেলনে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং একটি চূড়ান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ সংবিধানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। তার পূর্ববর্তী বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন সংবিধান প্রণয়নে প্রায় তিন বছর সময় লাগতে পারে।
সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করতে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সময়সাপেক্ষ ও কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন।
মন্তব্য করুন