আরও একবার নিজেদের সামরিক শক্তি দেখাল ইরান। উন্মোচন করল নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা। যেখানে মজুদ করা হয়েছে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র। প্রতিপক্ষের গোয়েন্দা নজরদারি এড়িয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের এই শহর গড়েছে উপসাগরীয় দেশটি।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে—ইরানের দক্ষিণ উপকূলে একটি নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা উন্মোচন করেছে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের নৌবাহিনী শাখা। স্থানীয় সময় শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভূগর্ভস্থ এই নৌঘাঁটি উন্মোচন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়—শত শত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের ইলেক্ট্রিক ওয়ারফেয়ার ধ্বংস করতে সক্ষম বলে আন্ডারগ্রাউন্ড মিসাইল স্টেশনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মিসাইলগুলো মাটির নীচে শত শত মিটার গভীরে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর হতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে শত শত কিলোমিটার দূর থেকে ছোড়া এবং অপারেট করা যাবে। অন্যদিকে, সমুদ্রের অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইল সিস্টেম।
আইআরজিসি প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি নৌবাহিনী কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরির সঙ্গে ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আন্ডারগ্রাউন্ড মিসাইল স্থাপনাটির অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে, ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার উন্মোচনের পর উদ্বেগ জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলো। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে এনেছে তার পাল্লা ১৭শ কিলোমিটার। এটি সরাসরি তেলআবিবে আঘাত হানতে পারবে।
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার অভিযোগ করে আসছে। এরমধ্যেই ইরানের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার তাদের চিন্তায় ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি দেশের দক্ষিণ জলসীমার উপকূলে নির্মিত একটি ভূগর্ভস্থ নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করে ইরান। যেখানে দ্রুত আক্রমণকারী জাহাজ এবং অন্যান্য জাহাজের একটি বিশাল বহর রাখা হয়েছে। এরপর নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র শহর প্রকাশ্যে আনল ইরান।
মন্তব্য করুন