ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস নতুন করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ইয়ার্দেন বিবাস (৩৪), ওফার কালডেরন (৫৩) এবং কেইথ সিগেল (৬৫)। তাদের আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইআরসি) কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হামাস আটজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ইসরায়েলি এবং বাকি পাঁচজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। তবে সেদিন গাজার খান ইউনিস এলাকায় জিম্মি মুক্তির সময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আজকের মুক্তির প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইয়ার্দেন বিবাসের পরিবারের ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা
মুক্তি পাওয়া ইয়ার্দেন বিবাসের পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। হামাসের যোদ্ধারা তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকেও গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। পরে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে হামাস জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েল সরকার তখন এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।
তবে আজকের মুক্তির পর ধারণা করা হচ্ছে, বিবাসের স্ত্রী ও সন্তানরা হয়ত সত্যিই মারা গেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হামাস চুক্তির অংশ হিসেবে শিগগিরই তাদের মরদেহ ফেরত দিতে পারে।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও রাফা ক্রসিং খুলছে ইসরায়েল
হামাসের মুক্তি দেওয়া তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগারে বন্দি থাকা ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
এ ছাড়া আজই গাজা উপত্যকার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রাফা ক্রসিং খুলে দিচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী ক্রসিংটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ফলে ফিলিস্তিনিরা গাজা থেকে বের হতে পারছিলেন না। তবে এখন ক্রসিং খুলে দেওয়ার ফলে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয়
জিম্মি মুক্তির এই ঘটনাগুলো যুদ্ধবিরতির জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নতুন একটি বন্দিবিনিময় চুক্তির আলোচনা চলছে, তবে উভয় পক্ষের মধ্যে এখনো বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন