ফিলিস্তিনের গাজার হামাস যোদ্ধারা মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মি কিথ সিগালকে রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তারা সিগালকে মুক্তি দেয়। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
মুক্তির সময় সিগাল একটি কালো ক্যাপ পরা ছিলেন। তাকে গাজা সিটি বন্দরে সমুদ্রের সামনে স্থাপিত একটি মঞ্চে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি জনতার উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ হাত নাড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
৬৫ বছর বয়সী সিগালকে কারও সাহায্য ছাড়াই হাঁটতে দেখা যায়। কিন্তু তাকে দেখতে রোগা এবং ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল।
মঞ্চটি নিহত হামাস সামরিক নেতাদের ছবি এবং হিব্রু ভাষায় লেখা একটি স্লোগান দিয়ে সজ্জিত। যেখানে লেখা আছে ‘ইহুদিবাদ জিতবে না।’
সিগালকে মুক্তির জন্য মঞ্চে হাজির করার সময় কয়েক ডজন সশস্ত্র এবং মুখোশধারী হামাস বন্দুকধারীরা মঞ্চের চারপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা মঞ্চটি ঘিরে রাখেন।
আইডিএফ জানিয়েছে, রেড ক্রস সিগালের মুক্তি নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, জিম্মি কিথ সিগালকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রেড ক্রস এখন তাকে গাজার ভেতরে আইডিএফ এবং শিন বেট বাহিনীর কাছে নিয়ে আসছে। তারপর তাকে গাজা থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলে নেওয়া হবে।
সিগাল যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণ এবং গণহত্যার সময় তার স্ত্রী আভিভাসহ তিনি অপহৃত হন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির সময় আভিভাকে মুক্তি দেয় হামাস। কিন্তু সিগালকে গোপন স্থানে আটক রাখে যোদ্ধারা।
এদিকে ইসরায়েল আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল তাদের মুক্তি দিচ্ছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংবাদমাধ্যম দপ্তর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মুক্তি পাওয়া ১৮৩ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাভোগ করছিলেন এবং ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড ছিল। বাকি ১১ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আটক করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, ৯০ জন বন্দি মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু পরে এ সংখ্যা ১৮৩-তে বাড়ানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ জানান, এ তথ্য এখন হালনাগাদ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন