গাজা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও তিন জিম্মি। আগামীকাল শনিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের মধ্যে দুজন বিদেশি দ্বৈত নাগরিক রয়েছেন।
শুক্রবার ( ৩১ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, শনিবার তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে একজন মার্কিন ও ইসরায়েলের এবং একজন ফ্রান্স ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক রয়েছেন। তারা হলেন জর্ডান বিবস, কেইথ সিগেল এবং অফার ক্যালডেরন।
কেইথ সিগেল ইসরায়েলি-আমেরিকান যৌথ নাগরিক। তিনি স্ত্রী আভিভার সঙ্গে জিম্মি হন। গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির অধীনে তার স্ত্রীকে মুক্তি দেয় হামাস।
ফিলিস্তিনের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ৯ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৮১ জন দীর্ঘ মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গাজা থেকে আরও আট জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। গোষ্ঠীটি জানায়, এবার তিন ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে চুক্তির অংশ হিসেবে ১১০ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেয় তারা।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান ২০০ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ওই সময়ে রয়টার্স জানায়, মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বন্দি সম্প্রতি আটক হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় শেষ হবে।
এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এ ছাড়া মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন