কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জীবন শঙ্কায় গর্ভবতী নারীরা, মর্মান্তিক তথ্য জানাল এইচআরডব্লিউ

জন্মস্থানে ফেরার আনন্দে আবেগাপ্লুত গাজার দুই নারী। ছবি : রয়টার্স
জন্মস্থানে ফেরার আনন্দে আবেগাপ্লুত গাজার দুই নারী। ছবি : রয়টার্স

গর্ভবতী ফিলিস্তিনি নারী এবং শিশুদের জীবন শঙ্কায় রয়েছে। চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া, খাদ্যাভাব, অপুষ্টিসহ নানাবিধ হুমকি তাদের তাড়া করে ফিরছে। আর এ বিপদ তৈরি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধ বিরতির পরও এসব সংকট উত্তরণের তেমন আশা নেই। এমন তথ্য জানাচ্ছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। খবর আলজাজিরার।

এইচআরডব্লিউ বলছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং মানবিক সাহায্য প্রবাহের উপর কঠোর বিধিনিষেধ, সেই সাথে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ইসরায়েলি আক্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার ফলে ভয়ংকর বিপদে গর্ভবতী নারীরা।

নতুন প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজার নারীরা যে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে সন্তান প্রসব করছেন; তার উন্নতির সম্ভাবনা কম।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) নিষিদ্ধ করার জন্য ইসরায়েলি আইনও এই সপ্তাহে কার্যকর হতে চলেছে এবং এর ফলে বিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ মারাত্মকভাবে সীমিত হবে বলে মনে করছে এইচআরডব্লিউ ।

অধিকার গোষ্ঠীটি দেখেছে, গাজার নারীদের হাসপাতালের ভিড় থেকে তাড়াহুড়ো করে বের করে আনা হচ্ছে। কখনো কখনো সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নারীদের হাসপাতালের বাইরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, প্রতিনিয়ত যুদ্ধে হতাহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাদের জন্য জায়গা খালি করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভবতীদের সেবা দেওয়া যেন বিলাসিতা।

তেমনি নবজাতকের যত্নও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাফাহের আল-হেলাল আল-এমিরাতি ম্যাটারনিটি হাসপাতালের একজন ডাক্তার বলেছেন, এই হাসপাতালে এত কম ইনকিউবেটর এবং এত বেশি অকাল জন্ম নেওয়া শিশু থাকছে, যা অকল্পনীয়। সেখানকার ডাক্তাররা একটি ইনকিউবেটারে চার বা পাঁচটি শিশুও রাখতে বাধ্য হয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকাসহ তিন বিভাগে কমবে তাপমাত্রা

গাজীপুরে তুরাগ তীরে আসছেন দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা

ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ / ভয়াবহ পরিস্থিতি, প্রার্থনা করতে বললেন ভার্জিনিয়ার গভর্নর

‘বিনিয়োগের থলি’ নিয়ে ঢাকায় ট্রাম্পের ব্যবসায়িক পার্টনার জেনট্রি

৪ বছর পর আবারো একসঙ্গে নাগা-পল্লবী

মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদ

বিপিএলে বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে তামিমের ক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ সন্দেহে ৬ যুবককে মারধর, যুবলীগ নেতা আটক

১০

‘জুলাইয়ের মতোই রাজপথে নামবে ছাত্রদল’

১১

ট্রাম্পের উচিত ইসরায়েলিদের তাড়িয়ে দেয়া

১২

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ঘটনায় ট্রাম্পের বিবৃতি

১৩

ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে ১৮ মরদেহ উদ্ধার

১৪

দুই বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রা

১৫

সুযোগ পেয়েও ইমনের মেডিকেলে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত

১৬

শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, বিপর্যস্ত জনজীবন

১৭

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন তাঁবুতে থাকা সেই বাদশা 

১৮

বিদেশি নাগরিকসহ আট জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

১৯

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ 

২০
X