গর্ভবতী ফিলিস্তিনি নারী এবং শিশুদের জীবন শঙ্কায় রয়েছে। চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া, খাদ্যাভাব, অপুষ্টিসহ নানাবিধ হুমকি তাদের তাড়া করে ফিরছে। আর এ বিপদ তৈরি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধ বিরতির পরও এসব সংকট উত্তরণের তেমন আশা নেই। এমন তথ্য জানাচ্ছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। খবর আলজাজিরার।
এইচআরডব্লিউ বলছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং মানবিক সাহায্য প্রবাহের উপর কঠোর বিধিনিষেধ, সেই সাথে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ইসরায়েলি আক্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার ফলে ভয়ংকর বিপদে গর্ভবতী নারীরা।
নতুন প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজার নারীরা যে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে সন্তান প্রসব করছেন; তার উন্নতির সম্ভাবনা কম।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) নিষিদ্ধ করার জন্য ইসরায়েলি আইনও এই সপ্তাহে কার্যকর হতে চলেছে এবং এর ফলে বিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ মারাত্মকভাবে সীমিত হবে বলে মনে করছে এইচআরডব্লিউ ।
অধিকার গোষ্ঠীটি দেখেছে, গাজার নারীদের হাসপাতালের ভিড় থেকে তাড়াহুড়ো করে বের করে আনা হচ্ছে। কখনো কখনো সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নারীদের হাসপাতালের বাইরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, প্রতিনিয়ত যুদ্ধে হতাহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাদের জন্য জায়গা খালি করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভবতীদের সেবা দেওয়া যেন বিলাসিতা।
তেমনি নবজাতকের যত্নও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাফাহের আল-হেলাল আল-এমিরাতি ম্যাটারনিটি হাসপাতালের একজন ডাক্তার বলেছেন, এই হাসপাতালে এত কম ইনকিউবেটর এবং এত বেশি অকাল জন্ম নেওয়া শিশু থাকছে, যা অকল্পনীয়। সেখানকার ডাক্তাররা একটি ইনকিউবেটারে চার বা পাঁচটি শিশুও রাখতে বাধ্য হয়েছেন।
মন্তব্য করুন