চলতি সপ্তাহে আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে আলোচনার পর রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ তথ্য জানান। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে যে, এই ছয় জিম্মির মধ্যে তিনজন আগামী বৃহস্পতিবারে মুক্তি পাবেন এবং বাকি তিনজন শনিবারে মুক্তি পাবেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লিখিত হয়েছে, ইসরায়েল কোনো ধরনের চুক্তি লঙ্ঘন সহ্য করবে না এবং সব জিম্মি (জীবিত এবং মৃত) ফেরত আনার জন্য দেশটি তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে উত্তর গাজায় ফেরার অনুমতি নেতানিয়াহু দেবেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আজ সকাল থেকেই উত্তর গাজায় ফিরতে দেবে ইসরায়েল। এ সম্পর্কে বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে যে, লাখো ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফেরার অপেক্ষায় আছেন।
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে, ইসরায়েলের উত্তর গাজায় হামাসের হামলার পর অনুযায়ী প্রায় ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ হামলার পর থেকেই ইসরায়েলি হামলায় ১৫ মাসের মধ্যে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অনেক লাখ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন যে, ইসরায়েল চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এবং মিসরের সহায়তায় উত্তর গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের জন্য আরও পথ খোলতে অগ্রগতি করবে।
এর আগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতবিরতির পরও উত্তর গাজার বাসিন্দারা ঘরে ফেরার পথে বাধার মুখে পড়েছেন। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের স্থাপিত চেকপয়েন্টে আটকে থাকা মানুষেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং ক্রসিং পয়েন্টগুলো খুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, হামাস চুক্তির শর্তভঙ্গ করেছে। তারা জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অপহৃত ইসরায়েলি নারী আর্চেল ইয়াহুদকে মুক্তি দেয়নি। অন্যদিকে ইসলামিক জিহাদ বলেছে, ইয়াহুদের মুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আলোচনা এখনও চলমান।
মন্তব্য করুন