কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার সামনে কী অপেক্ষা করছে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

গাজার সামনে এখন অনিশ্চয়তা ও কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এই শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রতিটি শহর, প্রতিটি পরিবার এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চরম সংগ্রাম করছে। যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপে কিছু বন্দি মুক্তি পেলেও গাজাবাসীদের জন্য ভবিষ্যৎ অনেকটাই অন্ধকার।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম ছয় সপ্তাহ গাজার বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় হতে পারে। ইসরায়েল সরকারের একটি অংশ যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে। তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—গাজাকে দখল করা এবং ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া। বিশেষ করে, কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি মন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানকার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে পদত্যাগও করেছেন। ফলে এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তি নিয়ে আসবে কি না এ ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। অনেকে এ যুদ্ধবিরতিকে সাময়িক বিরতি হিসেবে দেখছেন।

এদিকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ২৩ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খাবার, পানি ও শীতের পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে ত্রাণ পৌঁছানো শুরু হলেও সেই ত্রাণ যথেষ্ট নয় এবং নিরাপদে গাজার অভ্যন্তরে তা পৌঁছানোও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

গাজাবাসীরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর কিছুটা স্বস্তি পেলেও তাদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। তাদের সামনে যে ধ্বংসস্তূপ ও সংকটময় পরিস্থিতি, তা থেকে উতরে আসাও কঠিন। বিশেষ করে, গাজার শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে আসা মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ও ত্রাণের নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি হামাসের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তবে তা সফল হওয়া নির্ভর করছে ইসরায়েলের সদিচ্ছার ওপর। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তথ্য: আল জাজিরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৪৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল

রাজধানীতে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ

শপথ গ্রহণের পরপরই ১০ নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্টরা শপথবাক্য কীভাবে পড়েন

গৌরনদীতে ফেনসিডিলসহ এক যুবক আটক

ক্লিনিকের বোর্ডে ভেসে উঠল ‘জয় বাংলা, ছাত্রলীগ আবার ফিরবে’

২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির রহস্যময় ইঙ্গিত

চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক 

কামরুল-দিপু মনি-পলকসহ ১৩ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার 

পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

১০

অজিদের সাথে লড়াই করেও বাংলাদেশের হার

১১

জবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব, শিক্ষার্থীদের ভিড়

১২

ট্রাম্পের আশ্বাসে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও চালু টিকটক

১৩

দ্রুত সেরে উঠছেন সাইফ, জানালেন সোহা 

১৪

ফেনী সীমান্ত থেকে সুদানের নাগরিক আটক

১৫

ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার

১৬

এমবাপ্পের ম্যাজিকে শীর্ষে রিয়াল, প্রশংসায় ভাসালেন আনচেলত্তি  

১৭

গাজীপুরে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণ

১৮

শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে

১৯

গণতন্ত্রের জন্য শহীদ আসাদের আত্মদান আমাদের অনুপ্রাণিত করে: তারেক রহমান

২০
X