হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী তাদের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন। বিবিসির প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যায়, পোশাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বহনকারী মানুষের দীর্ঘ লাইন রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণার পর বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন গাজার মানুষ।
প্রকাশিত ছবিতে গাড়ির একটি বহরও দেখা যাচ্ছে, গাড়িগুলো লোকজনে ভরা। কিছু গাড়িতে তরুণ ও যুবকদের আনন্দে স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো গাড়িতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে ধরে রেখেছেন বাড়ি ফিরতে যাওয়া মানুষজন।
গতকাল শনিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। চুক্তি অনুযায়ী আজ রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ের অবসান হওয়ার পথ খুলছে বলে আশা করা হচ্ছে। তিন ধাপে কার্যকর করার কথা রয়েছে এ চুক্তি। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হবে ৪২ দিনের।
গাজার এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে, তিনজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবেন।
এদিকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়েছে। গত ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গাজায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন