গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
শুক্রবার ( ১৭ জানুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা সমস্ত রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং মানবিক দিক পর্যালোচনা করে এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর এটির সমর্থন দিয়েছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা ১১ জন ভোটার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চুক্তিটি অনুমোদন করেছেন। এর ফলে এটি ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় এটির অনুমোদন করতে হবে। স্থানীয় সময় ৩টা ৩০ মিনিটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজার তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে ৬ সপ্তাহ ধরে হামাস ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে সব নারী, শিশু ও নারী সেনা সদস্য থাকবে। এরপর ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েল প্রতিটি নারী সেনার জন্য ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে এবং প্রতিটি নারী নাগরিক বন্দির জন্য ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
ইসরায়েল গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ৭০০ মিটার (দুই হাজার ২৯৭ ফুট) দূরে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। বেসামরিক নাগরিকদের গাজার উত্তরে ফিরে যেতে দেওয়া হবে এবং প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে। আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। রাফাহ ক্রসিং সাত দিন পর খুলবে। ইসরায়েলি বাহিনী ফিলাডেলফি করিডোর থেকে তাদের উপস্থিতি কমিয়ে ৫০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করবে।
দ্বিতীয় ধাপে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয় থাকবে। তৃতীয় ধাপে মৃতদেহ ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠন শুরু হবে। যা মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হবে।
মন্তব্য করুন