ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। কাতারের আমির আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির ঘোষণা দেন। তবে যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর মধ্যে গাজার কেন্দ্রীয় শহর গাজা সিটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটির ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিয়ন বিল্ডিংয়ের কাছাকাছি একটি ভবনে ইসরায়েলি সেনারা ভয়াবহ হামলা চালায়। এই হামলায় ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, উপত্যকার রেদওয়ান এলাকা থেকে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, মধ্য গাজার বুরুজি ক্যাম্পের কারাজ এলাকায় ড্রোন হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হন। যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় তারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।
এদিকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শোনার পর বিধ্বস্ত গাজার সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দ উদযাপন শুরু করেছিলেন। তবে ইসরায়েলি হামলার শঙ্কায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আবার নিজেদের তাঁবুতে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ মধ্য গাজার দের এল-বালাহ থেকে জানান, কয়েক ঘণ্টার জন্য এই এলাকা উৎসবের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। তবে যেহেতু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে, তাই সবাই আশঙ্কা করছেন যে ইসরায়েল শেষ মুহূর্তে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ড্রোন ও কামান হামলা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছি। এই কারণেই মাত্র দুই ঘণ্টা পরই উদযাপন থেমে গেছে।
গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল শরীফ বলেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সাধারণ মানুষ খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে সেই খুশি ম্লান হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতি আবারও ইসরায়েলি বিমান হামলার নৃশংসতা এবং গাজার বাসিন্দাদের জীবনের অনিশ্চয়তা তুলে ধরে।
মন্তব্য করুন