কাতারে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে এক চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করেছেন মধ্যস্থতাকারীরা। এই খসড়াটি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস উভয়ের প্রতিনিধিদের হাতে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কাতারের রাজধানী দোহার এই আলোচনায় একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর চূড়ান্ত এই খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়। খবর রয়টার্স।
যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন—বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসতে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি।
এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও শিন বেতের প্রধান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের প্রতিনিধি ব্রেট ম্যাকগার্ক।
অবশ্য, এই চুক্তির খসড়াটি চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পক্ষই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে, ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলেছেন, হামাস যদি প্রস্তাবে সম্মত হয়, তবে কিছুদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় উপস্থিত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, দোহায় আলোচনা বেশ সফল হয়েছে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমানো গেছে। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, সবকিছু ঠিকভাবে এগোলেই এটি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির বাস্তব রূপ নিতে পারে।
এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে, নেতানিয়াহু মোসাদ এবং শিন বেতের প্রধানসহ ইসরায়েলের উচ্চস্তরের কর্মকর্তাদের কাতাদের দোহায় পাঠানোর নির্দেশ দেন, যেখানে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত খসড়া হওয়ার পর এখন আগামী দিনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি সুষ্ঠুভাবে চূড়ান্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন