ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার অস্ত্রবিরতি চুক্তি বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস ৩৪ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির কোনো সাড়া মেলেনি।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর এই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। তবে তাদের মুক্তি ও শনাক্তকরণে এক সপ্তাহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন।
এ ছাড়াও গাজার স্বাধীনতাকামী হামাসের দাবি, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলসহ অন্যান্য দেশের মোট ২৫১ জনকে নাগরিককে জিম্মি করেছিল। জিম্মিদের মধ্যে এখনো ৯৬ জন জীবিত রয়েছেন, আর ৩৪ জন মারা গেছেন।
এদিকে ইসরায়েলি সংগঠন ‘হোস্টেজস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ দ্রুত বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মুক্তি দেওয়া জিম্মিদের অবস্থা নিয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি হামাস।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চললেও যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবগুলো কার্যকর হয়নি। ইসরায়েল বারবার স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্ত নাকচ করে আসছে।
মন্তব্য করুন