সিরিয়ায় বাশার আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ২০১১ সালে। সেসময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়েছিল সৌদি আরব। আর মধ্যপ্রাচ্যের আরেক পরাশক্তি ইরানের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। বাশার আল আসাদকে সিরিয়ার ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল তেহরান। আর তাই রাশিয়ার সঙ্গে মিলে বাশার আল আসাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন খামেনি।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর অবশেষে পতন হয়েছে বাশার আসাদ সরকারের। বিদ্রোহীদের কাছে হেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন স্বৈরশাসক আসাদ। আর আসাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দামেস্ক থেকে হাত গোটাতে হয়েছে রাশিয়া ও ইরানকে।
সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইরানের সে জায়গা এখন দখলে নিচ্ছে সৌদি আরবই। গেল ৮ ডিসেম্বর বাশার আসাদ সরকারের পতন ও পলায়নের পর রিয়াদ-দামেস্কের সম্পর্কে ফের নতুন বাতাস বইতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্রোহীদের নিয়োগ পাওয়া নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শিবানি নিজের প্রথম সফরে সৌদিকে বেছে নিয়েছেন।
দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়াকে আরব লীগের বাইরে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। পরে অবশ্য সৌদি-সিরিয়ার সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলে। তখন আরব লীগে আবারও ঠাঁই হয় সিরিয়ার। তবে দুই দেশের সম্পর্ক সেভাবে এগোয়নি। এখন নতুন সরকার সিরিয়ার ক্ষমতায় আসায় ধারণা করা হচ্ছে দামেস্ক হবে সৌদি আরবের অন্যতম অগ্রাধিকার।
সিরিয়ায় নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-শিবানিকে সৌদি যেতে আমন্ত্রণ জানান তার সৌদি সমকক্ষ প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। সৌদির সঙ্গে সিরিয়া কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলেও সোমবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন আল-শিবানি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদি আরবের রয়েল কোর্টের একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন