ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি ‘এখন ফাঁকা’ হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, শুক্রবার ইসরায়েলের এই অভিযানে ‘হাসপাতালগুলো আবার আতঙ্কের যায়গায় পরিণত হয়েছে।’
শনিবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শেষ প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিও এখন আর সেবা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলেছে, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পদ্ধতিগতভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। উত্তর গাজায় ৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ, এ অঞ্চলে অবশিষ্ট ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনির জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ‘কামাল আদওয়ান হাসপাতাল এখন ফাঁকা।’ শুক্রবার হাসপাতালের অবশিষ্ট ১৫ জন গুরুতর রোগী, ৫০ জন পরিচর্যাকারী ও ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা হাসপাতালটিকে এখন ‘ধ্বংস ও অকার্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী শনিবার জানিয়েছে, তারা হাসপাতালের ‘হামাস কমান্ড সেন্টারে’ তাদের অভিযান শেষ করেছে। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করে হাসপাতালের এক পরিচালককে আটক করেছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য এই গুরুতর রোগীদের হাসতাপালে অবস্থান করা, তাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি ডেকে আনবে। সংস্থাটি জানায়, ডব্লিউএইচও তাদের সুস্থতা ও কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালকের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ডব্লিউএইচও আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানের সময় হাসপাতালের কিছু অংশ পুড়ে গেছে ও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাবরেটরি, সার্জিক্যাল ইউনিট, প্রকৌশল ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার ও মেডিকেল স্টোর।
শুক্রবারের শুরুতে ১২ জন রোগীকে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে সরাতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কিছু লোককে জোর করে দক্ষিণ গাজার দিকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন