সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতনের পর এবার ভয়ে আছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। কারণ, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সফলতায় মিসরেও ফের অভ্যুত্থানের ডাক এলে হয়তো সামাল দিতে পারবেন না তিনি।
এক দশক আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় আসেন। বাশারের পতনের পর থেকে তিনি এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এই মন্তব্য না করা তার শাসনের নিরাপত্তাহীনতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বাশারের পতনের পর সিসি নড়েচড়ে বসেছেন। কারণ, আরব অঞ্চলে তিনিই এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী শাসক। তার কারাগারে এখনো ৬৫ হাজার রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন। হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, নির্যাতনকে তিনি রাষ্ট্রীয় নীতির পর্যায়ে উন্নীত করেছেন, যেটি মানবাধিকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সিসি নতুন প্রশাসনিক রাজধানীর স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের সদর দপ্তরে সামরিক কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেন।
এ সময় সরকারপন্থি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে প্রচার করা হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি শিরোনাম প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দুটি শিরোনাম হলো, ‘সিসি আসাদ নন’ এবং ‘মিসরীয়দের সিরিয়ার বিদ্রোহীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত নয়।’
এরপর ২৩ ডিসেম্বর মিসরীয় রাষ্ট্র-সংযুক্ত নিউজ আউটলেটগুলো জনসাধারণের উদ্দেশে সিসির একটি বক্তৃতার ভিডিও সম্প্রচার করে। সেখানে সিসি বলেছেন, ‘তারা সিরিয়ায় তাদের মিশন শেষ করেছে। তারা সিরিয়াকে ধ্বংস করেছে। এখন টার্গেট হলো মিসরীয় রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলা।’ তবে সিরিয়ার ধ্বংসের জন্য তিনি কাকে দায়ী করেছিলেন, তা উল্লেখ করেননি।
মন্তব্য করুন