সিরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সময়ের সাবেক এক বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিদ্রোহীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের আমলে হাজার হাজার বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেলে নির্যাতন এবং অনেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার সাবেক এসব হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার শুরু করেছে।
সিরিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, মোহাম্মেদ কানজো হাসান নামে সাবেক এক বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারতুস অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, তিনিসহ আরও অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকলে ওই বিচারপতির সহযোগী ছিলেন। সামরিক আদালতে হাজার হাজার বিদ্রোহীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানজো ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সিরিয়ার সামরিক আদালতের প্রধান ছিলেন। দেশটিতে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর সামরিক আদালতের প্রধান হিসেবে তার পদোন্নতি হয়।
অভিযোগ রয়েছেত এক মিনিটেরও কম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেন কানজো। এ সময়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে দিতেন তিনি। ফলে বলতে গেলে বিনা বিচারেই বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড হতো।
তার বিরুদ্ধে বন্দি পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অর্থের বিনিময়ে তিনি তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
বাশার আল আসাদের সময়ে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য অত্যন্ত পরিচিত জেল হলো সিডনায়া। এ জেলে বিদ্রোহীদের নির্যাতন করা হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১১ সাল থেকে এ জেলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে বন্দি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ছয় হাজার ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ নিখোঁজ রয়েছেন।
মন্তব্য করুন