কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়া নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানাল ইরান

ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি। ছবি : সংগৃহীত
ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি। ছবি : সংগৃহীত

আসাদ সরকার পতনের পর আবারও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তাদের দূতাবাস খোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইরান।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে এই মুখপাত্র বলেন, সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাস চালু করার বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগ

ফাতেমা মোহাজেরানি জানান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর ইরান নতুন একটি কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সিরিয়া এবং ইরানের রাজধানীতে দূতাবাসগুলো পুনরায় চালুর জন্য প্রস্তুত। এই বিষয়ে আমরা কূটনৈতিক আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছি।

আসাদ সরকারের পতন এবং ইরানের প্রভাব

সিরিয়ায় ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ শেষে চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) এক ঝটিকা অভিযানে প্রেসিডেন্ট আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর তিনি দেশ ছেড়ে মিত্র রাশিয়ায় আশ্রয় নেন।

দীর্ঘ এই যুদ্ধে ইরান আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এমনকি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও মোতায়েন করেছিল। তবে আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব কমতে শুরু করে। নতুন শাসক এবং এইচটিএস নেতা আহমেদ আল শারা ইরানের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন।

ইরানি নাগরিকদের নিরাপত্তা সংকট

আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ইরানি নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দামেস্কে ইরানের দূতাবাসেও হামলা হয়। এ কারণে অনেক ইরানি নাগরিক সিরিয়া ছেড়ে চলে গেছেন।

কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা

গত ১৫ ডিসেম্বর সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে কিছু সুপারিশ গ্রহণ করে। এতে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং ইরানের জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিতের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।

ইরান এবং সিরিয়া দুই দেশই এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দূতাবাস খোলার উদ্যোগ সফল হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে এগোবে, তা সময়ই বলে দেবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির এই মানসিকতাকে স্বাগত জানাই : হাসনাত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির ‘তথাকথিত আন্দোলন’ আখ্যা, শিবিরের নিন্দা 

‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রেনিং-রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে’

কাতার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

কৃষক ভবেশের মৃত্যুর ৪ দিন পর হত্যা মামলা

কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি

ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে রিকশায় ঘোরানো ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আ.লীগের হাতে গত ১৫ বছর আলেম সমাজ লাঞ্ছিত হয়েছে : রহমাতুল্লাহ

১০

চট্টগ্রামে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এবার বসলেন আমরণ অনশনে

১১

বগুড়ায় ৫ ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি

১২

৩ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুর

১৩

ইরান নিয়ে ইসরায়েলের সামনে এখন ‘প্ল্যান বি’

১৪

আ.লীগের মিছিলের প্রস্তুতির সময় বিএনপি নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৫

১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন চায় এনসিপি

১৬

সরিয়ে দেওয়া হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএসকেও

১৭

রেকর্ড ভেঙে সোনার দামে নতুন ইতিহাস

১৮

আরেক দেশকে নিয়ে ‘বিশাল যুদ্ধ মহড়ায়’ যুক্তরাষ্ট্র

১৯

বাকেরগঞ্জে কারখানা নদীর বালুমহাল ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

২০
X