সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারা, যিনি গত সপ্তাহে এক নারীর সঙ্গে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শিকার হয়েছিলেন, এবার এসব বিতর্কের জবাব দিয়েছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর লেয়া খেইরাল্লাহ নামের এক নারীর সঙ্গে ছবি তোলার পূর্ব মুহূর্তে চুল ঢাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে আল-শারা বলেছেন, ‘আমি ওই নারীকে বাধ্য করিনি, এটা আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। আমি যেভাবে উপযুক্ত মনে করি, সেভাবে ছবি তুলতে পারি।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
ছবি তোলার আগে, আল-শারা লেয়াকে চুল ঢাকার জন্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবং তিনি নিজের হুডি টেনে দিয়ে ছবি তোলেন। এ ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে পড়লে উদারপন্থি এবং রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়।
উদারপন্থিরা মনে করছেন, এটি সিরিয়ায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত হতে পারে, যেখানে ধর্মীয় পোশাকবিধি বাধ্যতামূলক হতে পারে। অন্যদিকে, রক্ষণশীলরা এ ঘটনার প্রতি সমালোচনামূলক মনোভাব প্রকাশ করেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে, একজন নারীকে রক্ষণশীল পোশাকে বাধ্য করা উচিত নয়।
এদিকে, লেয়া খেইরাল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি আল-শারার অনুরোধে বিরক্ত হননি। তার মতে, আল-শারা তাকে ‘পিতৃসুলভ স্নেহের’ সঙ্গে অনুরোধ করেছিলেন এবং একজন নেতা তার পছন্দমতো নিজেকে উপস্থাপন করার অধিকার রাখেন।
এ ঘটনা সিরিয়ার ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং রাজনৈতিক মতবিরোধের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে একদিকে কিছু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র চান, আবার অন্যদিকে ইসলামিক আইনের ভিত্তিতে শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি উঠছে।
২০১৭ সালে বিদ্রোহীরা ইদলিব প্রদেশে নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সেখানে কঠোর পোশাকবিধি চালু করেছিল, যদিও সম্প্রতি এ নিয়মগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, আল-শারার এ ছবি তোলার ঘটনা ভবিষ্যতে সিরিয়ার শাসনব্যবস্থার দিকে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
মন্তব্য করুন