জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোজমেরি ডিকার্লো ইরানের পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখতে তেহরান এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তির সফলতা কিংবা ব্যর্থতা কেবল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর জন্য নয়, বরং আমাদের সবার জন্যই গভীর তাৎপর্য বহন করে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে ইরান এবং যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে যৌথভাবে ‘জেসিপিওএ’ নামে পরিচিত একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তবে ২০১৮ সালে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে সরে যান, যার ফলে ইরানও ধীরে ধীরে চুক্তির শর্ত ভাঙতে শুরু করে।
সম্প্রতি ইউরোপ ও ইরানের কূটনীতিকরা মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে এবং ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। তাদের দাবি, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা বন্ধে প্রয়োজন হলে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হবে।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি এই হুমকিকে বেআইনি বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে তেহরান তার সমান প্রতিক্রিয়া জানাবে।
জাতিসংঘের পরমাণুবিষয়ক নজরদারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান তাদের ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াচ্ছে, যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত আলোচনা শুরু করা না হলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট দেখা দিতে পারে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সব পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন