বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়া হয়ে লেবাননে অস্ত্র সরবরাহের যে পথ ছিল, তা এখন আর নেই বলে স্বীকার করেছেন ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। তিনি শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো জনগণের উদ্দেশ্যে এই বিষয়টি তুলে ধরেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাশেম বলেন, হ্যাঁ, সিরিয়ার মধ্য দিয়ে সামরিক অস্ত্র সরবরাহের যে পথ ছিল, তা এখন আর নেই। আমাদের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আসাদের শাসনামলে, সিরিয়া ছিল ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট, যেখানে ইরান থেকে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম ইরাক ও সিরিয়া হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে পৌঁছাত।
বিদ্রোহী জোটের দখলে সীমান্ত ও দামেস্ক চলতি মাসের ৬ ডিসেম্বর আসাদবিরোধী যোদ্ধারা ইরাক সীমান্ত দখল করে এবং এর দুদিন পর তারা দামেস্কও দখল করে নেয়। ফলে সিরিয়া হয়ে অস্ত্র সরবরাহের এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
কাশেম আরও বলেন, আমরা আশা করি, নতুন সরকার আসলে এই রাস্তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে, অথবা আমরা বিকল্প রাস্তার সন্ধান করতে পারি। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, সিরিয়ার নতুন শাসক গোষ্ঠী ইসরায়েলকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করবে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।
হিজবুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।
আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের পর সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছে হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা। তারা তুরস্কের সমর্থন পেয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
মন্তব্য করুন