বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এর মধ্যে দিয়ে তার দুই দশকের বেশি সময়ে শাসনকালের সমাপ্তি ঘটেছে। এরপর পাল্টে যেতে শুরু করেছে দেশটির পরিবেশ। বিভিন্ন দেশ পুনরায় সিরিয়ায় নিজেদের দূতাবাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৩ বছর পর দেশটিতে পুনরায় দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে কাতার।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। দেশটিতে ১৩ বছরের বেশ সময় ধরে কাতারের দূতাবাস বন্ধ রয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে সিরিয়ায় দূতাবাস বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর বাশার আল আসাদের ধারাবাহিক ক্র্যাকডাউনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসময়ে রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে আবারও দূতাবাসটি চালু করা হবে।
দামেস্কে কাতারের দূতাবাসটি ২০১১ সালের জুলাই থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যখন তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর আল আসাদের বাহিনীর ধারাবাহিক ক্র্যাকডাউনের পরে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছিল। মঙ্গলবার দূতাবাস আবার খুলবে।
আল জাজিরার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি আরব দেশ আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক সংশোধন এবং দামেস্কের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। তবে এ প্রচেষ্টায় অংশ নেয়নি কাতার।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দূতাবাস পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ পদক্ষেপ দেশটির নাগরিকদের বৈধ অধিকার অর্জনের সংগ্রামের প্রতিফলন।
মন্তব্য করুন