বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে মাত্র ১২ দিনের মধ্যে পতন হয়েছে বাশার আল আসাদ সরকারের। এরপর দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়েছেন তিনি। এবার তাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। বিমানে করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রাশিয়ায় পাচার করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাতে দ্য ইকোনোমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্রের বরাতে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের নগদ অর্থ রাশিয়ায় পাচার করেছেন বাশার আল আসাদ সরকার। এসব চালানে ১০০ ডলারের বিল ও ৫০০ ইউরোর নোট পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার যাঁতাকলে সিরিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে মস্কোর নুকোভো বিমানবন্দর দিয়ে দেশটিতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অব্যাহত থাকায় এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় দেশটির অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মধ্যে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে রাশিয়া থেকে গম এবং সামরিক ব্যয় এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের জন্য খরচ করা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টে ব্যুরো অফ নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সাবেক প্রধান ডেভিড শেঙ্কার বলেন, আসাদ সরকার তাদের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন যাতে করে তিনি ও তার কাছের মানুষরা পরবর্তীতে সুন্দর জীবন কাটাতে পারেন। আসাদ সরকারের দীর্ঘকাল ধরে বিদেশে সম্পদ স্থানান্তরের কাজ করে আসছেন।
সিরিয়ার লিগ্যাল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের সিনিয়র গবেষক ইয়াদ হামিদ বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে আসাদ সরকারের সম্পদ পাচারের জন্য রাশিয়াকে হাব বানিয়ে নিয়েছিলেন। কেননা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়া বৈশ্বিক ব্যাংকিংব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে বিমানে করে পাঠানো হয়েছে। দেশটিতে পাঠানো এসব অর্থের ওজন ছিল প্রায় দুই টন। ১০০ মার্কিন ডলারের বিল ও ৫০০ ইউরো নোটের মাধ্যমে এসব অর্থ পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন