সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতন ঘটিয়ে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে বিদ্রোহী জোট। ইসলামপন্থি এই বিদ্রোহীরা শুরু থেকেই তুরস্কের সহযোগিতা পেয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে সরাসরি সামরিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে আঙ্কারা। খবর এএফপির।
রবিবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার বলেছেন, বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে সিরিয়ার নতুন সরকারকে একটি সুযোগ দেওয়া উচিত। তারা চাইলে তুরস্ক দেশটিতে সামরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন ঘটে। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটলেও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। দেশটির সামনে রয়েছে নানা অনিশ্চয়তা। বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থ গোষ্ঠীর চাপে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বাশার আল আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে সিরিয়ার যে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয় সেখানে না চাইতেও তুরস্ক একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী তুরষ্কে আশ্রয় গ্রহণ করে। বিপুল শরণার্থীর এই চাপ থেকে মুক্ত হতে তুরস্ককে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করে।
বিদ্রোহীরা সিরিয়ার ক্ষমতা দখলের পরেই উচ্চপদস্থ একাধিক তুর্কি কর্মকর্তা দামেস্ক সফরে যান। তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের দুদিন পরেই শনিবার দামেস্কে পুনরায় নিজেদের দূতাবাস চালুর ঘোষণা দেয় আঙ্কারা। এরপরেই তুরস্কের পক্ষ থেকে সিরিয়ার নতুন সরকারকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব এলো।
মন্তব্য করুন