সিরিয়ার নতুন নেতা আহমদ আল-শারা (আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি), যার নেতৃত্বে বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে সিরিয়ার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। সিরিয়ায় আসাদের পতনের পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলের লাগাতার হামলার পরও শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছেন আল-জোলানি।
দীর্ঘকালীন সংঘাত এবং বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নতুন সংঘাতে জড়ানোর পরিবর্তে সিরিয়ার পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা অর্জনে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সিরিয়ার বিজয়ী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান করেন। খবর রয়টার্স।
তিনি বলেন, ইসরায়েল যে যুক্তি দিয়ে হামলা চালাচ্ছে তা ‘দুর্বল’ এবং ‘ভিত্তিহীন’। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের এসব হামলা সিরিয়ার মাটিতে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে এবং এর ফলে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে।
আমরা নতুন সংঘাতে জড়াতে চাই না। সিরিয়া এখন যুদ্ধের ক্লান্তিতে পরিপূর্ণ, আর এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, বলেন আল-শারা।
এছাড়া, সিরিয়ার নতুন নেতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখায় এবং উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা না করে। তিনি বলেন, ‘শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য কূটনৈতিক সমাধানই একমাত্র কার্যকর পথ।’
এদিকে, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সামাল দিতে,রাশিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় এক দশক আগে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের পর সিরিয়ার গদি পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের সহায়তা ছিল অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমানে, সিরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে উঠেছে এবং আল-শারা রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের ভবিষ্যৎও সম্মানজনক এবং সহায়ক হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সতর্ক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন, যাতে সিরিয়া পুনর্গঠন এবং শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
এ ধরনের শান্তির বার্তা সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলার পর সিরিয়ার নতুন নেতার অবস্থান পরিষ্কার- দেশ পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতার জন্য সিরিয়া কোনো নতুন সংঘাতে জড়াতে চায় না।
মন্তব্য করুন