অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায়। এই প্রবাদ যেন এখন সিরিয়ার জন্য চরম এক সত্য। দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটি। চেপে বসা দুই যুগের স্বৈরশাসকের কাছ থেকে মাত্র কদিন হলো মুক্তি পেয়েছে সিরিয়ান জনগণ।
তবে, বিজয় উল্লাসের মধ্যেই আসে শঙ্কার খবর, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বাফার জোনে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এবার মড়ার উপর খাঁড়া ঘা, জানা গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস সরকার জানিয়েছে, সিরিয়ার ৯৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ জব্দ করে রেখেছে তারা। কিন্তু কেন?
এ বিষয়ে সুইস অর্থনৈতিকবিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, এই অর্থের বেশিরভাগই ২০১১ সালের মে মাসে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে আটকে রাখা হয়েছে। এই সপ্তাহে, সুইস সরকার সিরিয়াসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও তিনজন ব্যক্তিকে যুক্ত করেছে।
সুইস অর্থনৈতিকবিষয়ক দপ্তরের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বর্তমানে ৩১৮ জন ব্যক্তি এবং ৮৭টি প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। তবে সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের কোনো সম্পদ আটকে রাখা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফেরার যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ইসরায়েলের একের পর এক বিমান হামলায় তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সর্বাত্মক হামলার পাশাপাশি সিরীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ছে ইসরায়েলি সেনারা। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন তেল আবিব। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সিরিয়ার সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মাত্র ১২ দিনের হামলায় গেল রোববার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। এর পর থেকে দেশটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন