সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সামরিক স্থাপনা ও সরঞ্জাম লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে তুরস্কও দেশটিতে বিমান হামলা চালাল। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের মানবিজে অবস্থিত তিশরিন বাঁধকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় তুরস্ক।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ হামলা হয়। সিরিয়ার কুর্দি গণতান্ত্রিক বাহিনীর (এসডিএফ) বরাতে মেহের নিউজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এ খবর প্রকাশ করে।
তুরস্কের সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে তিশরিন বাঁধ অবস্থিত। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত।
বিমান হামলার পর সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে সেখানকার মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। তুরস্কের এ ধরনের হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
এদিকে গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশটিতে ৪৮০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আসাদ সরকারের বাহিনীকে মেরুদণ্ডহীন করে ফেলতে এ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত দুদিনে তারা দেশজুড়ে প্রায় ৪৮০ হামলা চালিয়েছে। এতে দেশটির কৌশলগত অস্ত্র মজুতকেন্দ্রকে নিশানা করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, সিরিয়ার নৌবাহিনীর ওপরও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। রাতভর এ হামলায় ব্যাপক সফলতা পাওয়ার দাবি করেন তিনি।
এর একদিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাশার আল আসাদের শাসনের পতনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তিনি এটিকে ‘নতুন এবং নাটকীয় অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, সিরিয়ার সরকারের পতন হলো আমাদের হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানকে আঘাতের প্রত্যক্ষ ফলাফল। অক্ষটি এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তবে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম- আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পরিবর্তন করছি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সিরিয়ায় বিমানবাহিনী ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫০টি হামলায় বিমানবিধ্বংসী ব্যাটারি, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, ফাইটার জেট, ট্যাঙ্ক এবং দামেস্ক, হোমস, টারতুস, লাতাকিয়া এবং পালমাইরা, পালমাইরাতে অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রকে নিশানা করা হয়েছে। এছাড়া বাকি হামলায় বাকি অস্ত্রের ডিপো, সামরিক কাঠামো, লঞ্চার এবং ফায়ারিং পজিশনকে নিশানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন