সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তার পলায়নের মাধ্যমে দেশটিতে আসাদ পরিবারের কয়েক দশক ধরে চলা শাসনের অবসান হয়েছে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোহাম্মদ আল বশির। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহী এ নেতা তুলনামূলক কম পরিচিত। তবে তিনি অতীতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ছোট এক অঞ্চলের প্রশাসন পরিচালনা করেছেন। এটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তিনি বলেন, আমরা আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছি। এতে ইদলিব ও এর আশপাশের মুক্তিকালীন সরকারের একটি দল এবং আসাদ সরকারের সঙ্গে কাজ করা সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন। ‘অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে ফাইল ও প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর’ শিরোনামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বাবা হাফিজ আল বাশাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল আসাদের শাসনকাল শুরু হয়। প্রথমে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে ওঠেন তিনি। বাশার আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের। এর আগে ২০১১ সালে আরব বসন্ত ঘিরে বাশার আসাদের ক্ষমতার মসনদ নড়ে উঠেছিল।
কিন্তু সে যাত্রায় রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন বাশার আসাদ। এবার অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। রাশিয়া ও ইরান আগেই তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে ফেলে। এরপরই হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপ মাত্র ৩টি শহর দখল করে নেওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বাশার আসাদকে। গোপনে প্লেনে চড়ে ছাড়তে হয় মাতৃভূমিও।
মন্তব্য করুন