দুই দশকের বেশি সময় পর মাত্র ১২ দিনে নাটকীয়ভাবে সিরিয়ার স্বৈরাশাসক বাশার আল আসাদের পতন হয়েছে। তার পতনের পর নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন সিরিয়ার নাগরিকেরা। এরইমধ্যে দেশটির শরণার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে নতুন ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরদোয়ান বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণের সীমান্তবর্তী গেট খুলে দিবে তুরস্ক। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের পলায়নের পর লাখ লাখ শরণার্থীর নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিতে এ পদক্ষেপের ঘোষণা দেন তিনি।
রাজধানী আংকারায় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তিনি বলেন, সিরিয়াকে পুনর্গঠনে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তুরস্ক। দেশটিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর রাজধানী দামেস্ক দখলের মাধ্যমে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়েছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাশিয়ার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তার এ পতনকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের পটপরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এরদোয়ান বলেন, পরিবর্তনের এ হাওয়া সব সিরিয়ানদের বিশেষ করে শরণার্থীদের জন্য উপকারী হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন বাড়বে এবং স্বদেশের জন্য সিরিয়ানদের ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
তিনি বলেন, আমরা ইয়াইলাদাগি সীমান্ত খুলে দিয়েছে। এর ফলে সীমান্তে ভিড় এড়ানো যাবে এবং চলাচল সহজ হবে। ২০১৩ সাল থেকে সীমান্তের কাছে যুদ্ধের কারণে এ গেট বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফেরানোর প্রক্রিয়াটি এতদিন যেভাবে তাদের রেখেছি সেভাবে মিল রেখে করব।
এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দেশটিতে বসবাসরত সিরিয়ান শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে কাজ করার কথা জানান। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত এ দেশটিতে প্রায় ৩০ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী রয়েছেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে দেশটিতে পালিয়ে আশ্রয় নেন তারা।
মন্তব্য করুন