কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের ক্ষমতাচ্যুতি ইসরায়েলের জন্য, তেমনই পৌষ মাস বয়ে এনেছে। ঘরের কোণে তেল আবিবের দুই শত্রুর নিপাত হয়েছে। বাশার আসাদের পতনের সঙ্গে আপাতত কোনো সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে না ইসরায়েলের। তবে বাশার আসাদ না থাকায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে দেশটি।
এরই মধ্যে গোলান মালভূমি থেকে সিরিয়ায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি দুই দেশের সীমান্তে থাকা বাফার জোনও দখল করে নিয়েছে তারা। এরই মধ্যে বাশার আসাদের পতন নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর এক দাবি করে বসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক দিন বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। রোববার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের মাউন্ট বেন্তাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ইরানের শয়তানের অক্ষের একটি কেন্দ্রীয় লিংক ছিল এই আসাদ রেজিম। এখন সেই রেজিমের পতন ঘটেছে।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইরান ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর ইসরায়েল যে সরাসরি আঘাত হেনেছে, তার ফলেই পতন ঘটেছে বাশার আসাদের।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ইরান, ফিলিস্তিনি ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং সিরিয়ায় থাকা তেহরানের প্রক্সিরা ইসরায়েলকে চাপে রেখেছিল। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রতিরোধ যোদ্ধা ও ফিলিস্তিনি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইরানেও হামলা চালায় তেলআবিব। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাশার আসাদের পতন ঘটেছে বলেই দাবি নেতানিয়াহুর।
মন্তব্য করুন