সিরিয়ার বিদ্রোহী জোটের কাছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এরইমধ্যে ইসরায়েল নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই পতনকে ইরান ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ‘সরাসরি ফসল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে সীমান্তের সিরিয়া অংশের ‘বাফার জোন’ দখলের ডাক দেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কোনো শত্রুকে আমাদের সীমান্তে আসতে দেব না। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) বাফার জোন এবং আশপাশের কৌশলগত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে বলেছি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের মাধ্যমে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। ১৯৭৪ সালে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ রেখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। গত পাঁচ দশকে সীমিত অভিযানের বাইরে এই রেখা অতিক্রম করেনি ইসরায়েল। তবে আসাদ সরকারের পতনের পর এই চুক্তিকে কার্যকর না বলে ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
আসাদ সরকার পতনের পর গোলান মালভূমি পরিদর্শনের সময় নেতানিয়াহু বলেন, আসাদের পতনের মাধ্যমে ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। সিরিয়ায় এখন একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি।
এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। সিরিয়া ও ইরানের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার আশঙ্কা রয়েছে।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরান ও হিজবুল্লাহর প্রভাব সীমিত হলেও নতুন আঞ্চলিক শক্তি ভারসাম্যের দিকে পরিস্থিতি মোড় নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন