বাশার আল আসাদের পতনের আগেই সিরিয়ার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ইরান। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসির এক সদস্যের গোপন নথিতে সে ব্যাপারে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শনিবারই এ নিয়ে একটি এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস।
ওই নথিতে সিরিয়ার ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য ও অদ্ভুত’ বলে বর্ণনা করেছেন আইআরজিসির ওই কর্মকর্তা। সেখানে আরও বলা হয়, মনে হচ্ছে আসাদের পতন মেনে নিয়েছে ইরান এবং প্রতিরোধের ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলেছে।
শুধু তাই নয়, আসাদ ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী বলা বাদ দিয়ে সশস্ত্র গ্রুপ হিসেবে বর্ণনা করা শুরু করে ইরানি গণমাধ্যম। তাদের হাতে সিরিয়ার শিয়া এখনো নিপীড়িত হয়নি বলেও ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে। কিন্তু চার দশক ধরে সিরিয়ার সঙ্গে গড়ে তোলা সম্পর্ক থেকে হঠাৎ সরে আসে ইরান। এর পেছনে কী রহস্য রয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকরা।
সিরিয়াবিষয়ক একজন ইরানভিত্তিক বিশ্লেষক মেহদি হেমাতি বলেন, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরানের ব্যাপক লজিস্টিক ও আর্থিক সম্পদের প্রয়োজন হতো। এ ছাড়া মিত্র এবং সিরিয়ারও সহায়তা লাগত। কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই।
তিনি বলেন, সিরিয়া ও লেবানন ইরানের বাম ও ডান পাখার মতো। সেগুলো এখন কেটে ফেলা হচ্ছে। এগুলোর একটি ছাড়া অপরটিকে কল্পনা করা খুব কঠিন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়াও সিরিয়া থেকে ইরানের হাত গুটিয়ের নেওয়ার অন্যতম কারণ।
মন্তব্য করুন