সিরিয়া এক প্রকার বিশ্ব রাজনীতির দাবার কোর্ট। এই সিরিয়া নিয়েই যেন রাজনীতির শেষ নেই। এখানে সারা বছর নিজেদের আধিপত্য জাহির করতে ব্যস্ত- ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি ইসরায়েলও। দশকের পর দশক ধরে সিরিয়ায় চলছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। যেন বিশ্বের বুকে যুদ্ধকে টিকিয়েই রেখেছে সিরিয়া।
গুঞ্জন আছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিনের প্রত্যক্ষ মদদেই এতদিন ধরে সিরিয়ার ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন বাশার আল আসাদ। অবশেষে সেই আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। খুব গোপনে রাজধানী দামেস্কো ছেড়ে পালিয়েছেন। ফলে সিরিয়াতে যে খেলা চলছিল সেখানে পরাজিত হয়েছেন পুতিনও।
২০১৫ সালে বাশার আল আসাদের সমর্থনে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দেশটিতে এখনো হাজার হাজার রুশ সেনা রয়েছে। তবে বিদ্রোহীদের গতির কাছে হার মানে তাদের বিমানবাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, সে সব রুশ সেনারাও পালিয়ে গেছে বিদ্রোহীদের তোপের মুখে।
২০১৬ সালে রাশিয়া ও ইরানের মদদ নিয়ে আলেপ্পো শহর পুনর্দখল করে আসাদ বাহিনী। এর আগে কয়েক বছর তুমুল লড়াই হয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। হায়াত তাহরির আল-শামের সঙ্গে জোট বাধে আসাদবিরোধী কয়েকটি গ্রুপ। ফলে আগেই ধারণা করা হচ্ছিল- যে কোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন বাশার আল আসাদ।
যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই অস্ত্র দিয়ে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করে আসছে। ২০১৪ সালে তারা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করে। এতে যোগ দেয় ইসরায়েলও। চালায় বোমা হামলা। সেই সাথে তুরস্ক, সৌদি আরব এবং মার্কিন সমর্থিত বিকেন্দ্রীভূত সশস্ত্র বিরোধী দলগুলো আসাদকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকে।
অবশেষে পতন হয় আসাদ সরকারের। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়া থেকে পালিয়ে বন্ধু পুতিনের কাছে চলে গেছেন বাশার আল আসাদ।
মন্তব্য করুন