সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের প্রায় দুই যুগের শাসনের অবসান ঘটেছে। মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ার শাসনক্ষমতা নিজেদের দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে রুশ বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। এমনকি রুশ বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে ক্ষমতার শেষ এক দশক মসনদ আঁকড়ে ছিলেন বাশার আসাদ।
কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা হায়াত তাহরির আল শাস, বাশার আসাদকে হটানোর মিশনে নামে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় সুন্নিপন্থি আরও বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এরপর পতন শুরু হয় বাশার আসাদ সরকারের একের পর এক দুর্গের।
রুশ বাহিনীও তাদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। এমনকি যে দৃশ্য সামনে আসছে, তাতে সিরীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তাও ফুটে উঠছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিজের পরম মিত্রের এমন পরিণতি হবে, তা হয়তো একটুও আঁচ করতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাই অনেকটা চোখের পলকেই পতন ঘটে সিরিয়া সরকারের।
গেল সপ্তাহে শোনা যায়, সিরিয়ার তারতাস বন্দর ছেড়েছে রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ। তবে এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রুশ জাহাজ তারতাস নৌঁঘাটি ছেড়ে যায়নি। বরং সোশ্যাল মিডিয়া যা ছড়াচ্ছে তা গুজব।
রোববার ইরান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ল্যাভরভ বলেন, ভূমধ্যসাগরে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইমেজ হয়তো এটাকে অন্য কিছু ভেবে নিয়েছিল। তবে তিন দেশে শীর্ষ কূটনীতিকের এ আলোচনায় কোনো ফল আসার আগে পতন ঘটে সিরিয়া সরকারের।
মন্তব্য করুন