সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তবে কোথায় গেছেন তা স্পষ্ট জানা যায়নি। এর আগে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কে ঢুকে পড়েন এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির সরাসরি সম্প্রচারে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট আসাদ একটি উড়োজাহাজে দামেস্ক ছেড়ে গেছেন, বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আসাদকে বহনকারী একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড়োজাহাজের উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর, তার মিত্র ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করছে। হিজবুল্লাহর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, তারা হোমস ও দামেস্ক শহর থেকে সরে যাচ্ছে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, তারা কুসাইর শহর থেকেও পিছু হটেছে, যা লেবাননের সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনের পর, বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কে প্রায় বিনা বাধায় প্রবেশ করে। এতে শহরে বিশাল উল্লাস সৃষ্টি হয়, হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ‘স্বাধীনতা’ স্লোগান দিতে থাকে। দামেস্ক বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন এবং ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করেছিলেন। সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা রাশিয়া ২০১৫ সালে হস্তক্ষেপ করে আসাদকে পুনরায় ক্ষমতায় ধরে রাখতে সহায়তা করে।
তবে সম্প্রতি হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তাদের সাহায্য কমেছে, এতে বিদ্রোহীরা আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এখন সিরিয়ায় আসাদের পতন এবং হিজবুল্লাহর সৈন্য প্রত্যাহারের পর দেশটি আরও অস্থিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন