ইরানে বাধ্যতামূলক হিজাববিধি না মানার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। তবে এই আইনের সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত এই হিজাব আইন সরকারকে জনগণের কাছ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এএফপি এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানের পার্লামেন্ট ইতোমধ্যেই ‘হিজাব ও পবিত্রতা’ আইন অনুমোদন করেছে। তবে এটি কার্যকর হতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই নারীদের জনসম্মুখে হিজাব পরে চুল ঢেকে রাখার নিয়ম চালু রয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে কুর্দি নারী মাহসা আমিনির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে নারীদের হিজাব ছাড়া চলাফেরা বেড়েছে। মাহসাকে হিজাব বিধি অমান্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেন, এই আইন নিয়ে আমার অনেক আপত্তি আছে। এটি সমাজে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এবং সরকারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আইন কার্যকর হলে জনসম্মুখে হিজাব না পরলে নারীদের ২০ মাসের গড় বেতনের সমান জরিমানা দিতে হবে। ১০ দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর নৈতিকতা পুলিশ প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেলেও ইউনিটটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়নি। পেজেশকিয়ান, যিনি সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত, নির্বাচনী প্রচারণায় নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিনি এখনো স্পষ্ট করেননি, তিনি এই নতুন হিজাব আইনে স্বাক্ষর করবেন কিনা।
মন্তব্য করুন