গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হামাসকে তার শপথগ্রহণের আগের দিন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার আগেই যদি গাজায় জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে এবং মানবতার বিরুদ্ধে এমন নৃশংসতার জন্য দায়ীদের কঠিন পরিণতি হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা। এসময় ১২০৮ জনকে হত্যা এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে হামাস। এসব জিম্মিদের মধ্যে কিছু মুক্তি পেলেও এখনো হামাসের হাতে বন্দি আছে ১শ’রও বেশি ইসরায়েলি। হামাসের দাবি, ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ড জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধেই এই হামলা চালায় তারা।
হামাসের হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজার নিরিহ মানুষের ওপর বোমা ফেলে যাচ্ছে তারা। ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য। সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পার্শবর্তী লেবাননসহ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারকারী ইসলামী গোষ্ঠীগুলো। এমনকি ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে ইতিহাসে প্রথমবার পরষ্পরের ভূখন্ডে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বৃহৎ সংঘাতের সূচনা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
ডোনাল্ড ট্রম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই গাজায় সংঘাত বন্ধ করবেন বলে মন্তব্য করে আসছিলেন। তিনি চাইছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে।
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
মন্তব্য করুন