কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সৌদি যুবরাজের ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ফাঁস

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত

আগে থেকেই সৌদি যুবরাজ ও ডি-ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগ রয়েছে। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উচ্চাভিলাষী নিওম সিটি বাস্তবায়নের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে মেরে ফেলার ক্ষমতা দিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে। এবার তার বিরুদ্ধে আরও এক গুরুতর অভিযোগ ও ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তহবিল ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। ৯৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে দেশটির ভিন্ন মতাবলম্বী ব্যবসায়ী ও ধনকুবেরদের কোম্পানি ও সম্পত্তি জব্দ করছেন সৌদি যুবরাজ।

জব্দকৃত এসব সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন যুবরাজ বিন সালমান। এক দশক আগে যেখানে এই তহবিলের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার, সেখানে বর্তমানে এই তহবিলের সম্পদের পরিমাণ পৌঁছেছে ৯২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। পদাধিকার বলে পিআইএফের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ করছেন সৌদি যুবরাজ। ফলে তহবিলের অর্থ কোন খাতে কীভাবে ব্যয় হবে— সে সম্পর্কে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

পিআইএফের অধীনে সবচেয়ে বড় প্রকল্পের নাম ‘নিওম’। মরুভূমির বুকে অত্যাধুনিক নাগরিক পরিষেবা সম্পন্ন একটি সাই-ফাই শহর এটি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, নিওমসহ পিআইএফের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের অধিক সময় কাজ করতে বাধ্য করা, দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের ঘোরতর লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিআইএফের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন, তাদরে প্রায় সবাই অভিবাসী শ্রমিক কিংবা দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোর গরিব ও কর্মজীবী শ্রেণিভুক্ত মানুষ।

২০১৭ সালে ক্ষমতায় গ্রহণের পর জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। জানান, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতকে জ্বালানি তেলের চেয়েও বেশি শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তার সরকার। এ লক্ষ্যে বড় বড় সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সৌদি প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ট্রাম্পের বক্তব্যের ফ্যাক্ট চেক

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন শাহজাহান ওমর

দায়িত্ব নিলেন ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী

মেসি-আর্জেন্টিনার পক্ষে ছিল রেফারি, অভিযোগ পেরু তারকার

বিদেশ যাওয়া হলো না কলেজছাত্র জাকিরের

সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার

তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি

জাতীয় দলে ফেরার প্রশ্নে যা বললেন সাকিব

সশস্ত্র বাহিনী দিবস: ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশিসহ মালদ্বীপে ৩৯ অভিবাসী আটক

১০

মার্কিন আদালতে অভিযুক্ত আদানি, পরোয়ানা জারি

১১

হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে দাঁড়াতে চান জেড আই খান পান্না

১২

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত

১৩

শীতকালীন সবজিতে বাজার সয়লাব হলেও দাম কমেনি

১৪

দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

১৫

আইজিপির দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম

১৬

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট

১৭

আগামী নির্বাচনের সময় জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

১৮

মানসম্পন্ন জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানাল বাংলাদেশ 

১৯

ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

২০
X