লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা দল হিজবুুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ নিহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি এক হামলায় তিনি নিহত হন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বৈরুতে একটি ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ নিহত হয়েছেন। তিনি গোষ্ঠীটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
লেবাননের রাজধানীতে ঘনবসতিপূর্ণ রাস আল-নাবা জেলায় হামলাটি হয়। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহর দাবি, ভবনটিতে কোনো সতর্কতা ছাড়াই হামলা করা হয়। বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বাস্তুচ্যুত অনেক লেবানিজ এ ভবন এবং এর আশপাশে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলি হামলার পর সবাই আতঙ্কে দিন পার করছেন।
সম্প্রতি লেবাননের কোনো স্থাপনায় হামলার আগে এক্স-এ সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী । কিন্তু রোববারের হামলার আগে সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বার্তায় ভবনটি খালি করার নির্দেশ দেয়নি।
এতে স্পষ্ট হয়, শুধু হিজবুল্লাহর সামরিক শাখাই নয় বরং সংস্থার প্রশাসনিক অংশের কর্মকর্তাদের অনুসরণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল যা করার চেষ্টা করছে তা হলো- অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সব ফ্রন্টে গোষ্ঠীটির সক্ষমতা হ্রাস করা।।
এদিকে উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় কয়েকটি বহুতল আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৯৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় একই সময় এসব হামলা করে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়া এবং মধ্য গাজার নুসিরাত ও বুরেজের শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও বাড়ি লক্ষ্য করে। এতে অন্তত পাঁচটি বহুতল ভবন ধসে বাসিন্দারা চাপা পড়েছেন।
এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, বেইত লাহিয়ায় হামলায় ৭২ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময় মধ্য গাজায় ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। উভয় ঘটনায় নিহতের শঙ্কা বাড়তে পারে।
আরও বলা হয়েছে, দখলকারী সেনাবাহিনী জানত যে- কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোক এই ভবনগুলোর ভেতরে ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিল শিশু ও নারী। এসব মানুষ আশপাশের এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বৈরুতে যেখানে হামলা হয়েছে সেখানেও বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে হিজবুল্লাহ নিধনের হামলা আরও জোরদার করলে বেসামরিক লোকজনই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মন্তব্য করুন