লেবাননের পার্বত্য এলাকায় কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব চালাচ্ছে। সর্বশেষ বুধবার (১৩ নভেম্বর) দাওহেত আরমাউনে ইসরায়েলি অভিযানে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলছে, দাওহেত আরমাউনে ইসরায়েলি অভিযানে ছয়জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে সেখানে এখনো ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
তবে এ হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হচ্ছে, নিহতদের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে তাদের শরীরের অঙ্গগুলো সরানোর কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা। তাদের পরিচয়ও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া আরও ১৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এর আগে লেবাননের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন। সেখানেও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ লেবাননে দ্বিতীয় ধাপের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তেল আবিবের দৈনিক মারিভের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। গোষ্ঠীটির নতুন আস্তানার দিকে অগ্রসর হচ্ছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এর অর্থ হচ্ছে, দক্ষিণ লেবাননের নতুন এলাকা ইসরায়েলি আগ্রাসনের কবলে পড়তে যাচ্ছে।
তথ্য মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে স্থল যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের যে সূচনা করেছে তাতে যোগ দিয়েছে ৩৬তম ডিভিশন। হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা লাইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে তারা। ৩৬তম ডিভিশন একটি সাঁজোয়া ডিভিশন এবং এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৃহত্তম।
ডিভিশনের সংযুক্ত আছে গোলানি ব্রিগেড, প্যারাট্রুপারস ব্রিগেড এবং ১৮৮ তম সাঁজোয়া ব্রিগেডসহ যুদ্ধ প্রকৌশলীরা। তারা ইতোমধ্যে দক্ষিণ লেবাননে নতুন অপারেশনে জড়িত।
ইসরায়েলি দৈনিকটি বলেছে, এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো ওই অঞ্চলে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া এবং লেবাননে রাজনৈতিক মীমাংসার আলোচনায় বসতে হিজবুল্লাহর ওপর চাপ প্রয়োগ করা।
মন্তব্য করুন