ইসরায়েলে কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, লেবানন থেকে হামলাটি করেছে হিজবুল্লাহ। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, যখন এটি বিস্ফোরিত হচ্ছে তখনও কোনো সাইরেন বাজেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হিজবুল্লাহর ড্রোন নেশারের হাইফা শহরতলির একটি কিন্ডারগার্টেনের উঠানে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত হননি। তবে বিস্ফোরণে একটি ভবনের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো অন্তত দুটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ড্রোন উড়ে এসে কিন্ডারগার্টেনটিতে আঘাত হানে। এ সময় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ভবনের পলেস্তারা ভেঙে পাঠদানের কক্ষে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সোমবারের (১১ নভেম্বর) স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে ইসরায়েলের আরও ৪ সেনা নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এখনও সংঘাতের ঘটনা বিস্তারিত জানায়নি। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
আইডিএফ জানায়, উত্তর গাজা উপত্যকায় লড়াইয়ের সময় চার সেনা নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, স্টাফ সার্জেন্ট ওর কার্টজ (২০), স্টাফ সার্জেন্ট নেভ ইয়ার আসুলিন (২১), স্টাফ সার্জেন্ট গ্যারি লালরুয়াকিমা জোলাট (২১) ও স্টাফ সার্জেন্ট ওফির ইলিয়াহু (২০)।
সৈন্যরা সবাই কেফির ব্রিগেডের শিমশন ব্যাটালিয়নের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তাদের মৃত্যুতে গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণ এবং সীমান্তে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনা নিহতের সংখ্যা ৩৭৫ জনে দাঁড়াল। তবে আইডিএফের এ হিসাব অনেকেই মানতে নারাজ। বিভিন্ন সংগঠন ইসরায়েলি সেনা নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার কয়েক গুণ বলে দাবি করেছে।
মন্তব্য করুন