ইয়েমেনে পশ্চিমা দুই দেশ যৌথ হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে চালানো এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সঙ্গে ছিল তার অন্যতম পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাজ্য।
কয়েক বছর ধরেই যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন। এবার সেই দেশে বিমান হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইয়েমেনের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, আমরান ও সাদা গভর্নোরেটে এই হামলা চালানো হয়েছে। রোববার রাজধানী সানা ও এর উপশহর এবং আমরান প্রদেশে প্রায় ৯ বার হামলা চালানো হয়।
ইরানের সমর্থনপুষ্ট ইয়েমেনে বিদ্রোহীরা গেল বছরের নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শিপিং প্রতিষ্ঠানের জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এমন হামলা চালিয়ে আসছে তারা। এমনকি ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট হামলা ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ নভেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব গোষ্ঠী সিরিয়ায় অবস্থান করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া ওই গোষ্ঠীগুলোর কারণে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অভিযানে অংশ নেওয়া মার্কিন ও যৌথ বাহিনী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গোষ্ঠীগুলোর ভবিষ্যৎ হামলা কিংবা হামলার পরিকল্পনার সক্ষমতার শক্তি নাশ করতেই এ হামলা করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিনিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনী সিরিয়ার দুই অঞ্চলে অন্তত ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ওপর চালানো কয়েকটি হামলার জবাবে তাৎক্ষণিক এ প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো।
যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান–সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছিল।
মন্তব্য করুন