কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ এএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মধ্যপ্রাচ্যে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ চাইলেন সৌদি যুবরাজ

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাজছে যুদ্ধের দামামা। গাজা ও লেবাননে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ও সাধারণ মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের এমন করুণ অবস্থার মধ্যে নীরব রয়েছে সৌদি আরব। তবে এবার সেই নীরবতা ভেঙে যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

সোমবার (১১ নভেম্বর) আরব লীগ ও অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের যৌথ সম্মেলনের (ওআইসি) আগে তিনি এ দাবি জানান। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদে আরব ও মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা ও লেবাননে তাদের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার আরব লীগ এবং অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) যৌথভাবে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনের আগে এক ভাষণে তিনি ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার নিন্দা জানান। তিনি ইসরায়েলকে আর কোনো আগ্রাসন না চালানোর জন্য আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে একইভাবে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গীতও গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গৃহীত পদক্ষেপগুলো দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টাকে হ্রাস করছে। শুধু ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, তার দেশ একটি অভূতপূর্ব সংকটে ভুগছে যা তার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কেননা ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লেবানন একটি অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক এবং অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যা তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ ইসরায়েলের হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যাকাণ্ডকে ‘সংগঠিত সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর মতো প্রতারণামূলক বাক্যাংশ দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৌশলে ফিলিস্তিনি অভিজাত এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নেতাদের একের পর এক বা ব্যাপকভাবে হত্যা করা হচ্চে। এটি অনাচার এবং সংগঠিত সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই নয়।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুও এই সম্মেলনে যোগ দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘গুটিকয় ব্যবসায়ীর কাছে বাজার জিম্মি থাকবে না’

সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া

সাফ জয়ী সাতক্ষীরার তিন ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা

অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ

জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান / আহতরা পাবেন ইউনিক আইডিকার্ড, আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা 

ভূমিকম্পে কাঁপল রংপুর 

ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ

বাঁচানো গেল না সেই রিমিকে

কিমকে সিংহ উপহার দিলেন পুতিন

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে নিউট্রিশন ক্লাব প্রতিষ্ঠিত

১০

আলু বীজের চড়া দামে দিশাহারা হাওরের চাষিরা

১১

ট্রাম্প প্রশাসনে বড় দায়িত্ব পেলেন মুসলিম চিকিৎসক

১২

ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

১৩

নির্বাচন কমিশন গঠন

১৪

আরশের সঙ্গে জুটি ভাঙার কারণ জানালেন তানিয়া 

১৫

রোনালদোর ‘ইন্টারনেটে ঝড় তোলা’ অতিথির নাম প্রকাশ্যে

১৬

সিইসি হলেন সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন

১৭

নোবিপ্রবির ১২ বিভাগে শিক্ষক সংকট চরমে

১৮

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ, দুর্ভোগ চরমে

১৯

গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব : যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, শান্তির পথে বাধা

২০
X