গাজায় হামলার পর থেকে অনেকটাই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি তা আরও বেড়েছে। নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এবার ড্রোন হামলার ভয়ে নিজের সফর বাতিল করেছেন তিনি।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলে ছিলেন। এ দিন লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের আরও উত্তরাঞ্চলের শহর মেটুলায় সফরের কথা ছিল নেতানিয়াহুর। তবে তিনি সেখানে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে এলাকাটিতে একটি সেনা ছাউনিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। ফলে ভয়ে সফর বাতিল করেছেন নেতানিয়াহু।
এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, ড্রোন হামলার ভয়ে নিজের ছেলের বিয়ে পেছাতে চাইছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম কানের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বহুমুখী যুদ্ধ এবং ড্রোন হুমকির মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে তার ছেলে অ্যাভনারের আসন্ন বিয়ে স্থগিত করতে চাইছেন।
নেতানিয়াহুর ছেলে অ্যাভনারের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর তেল আবিবের উত্তরে শ্যারণ অঞ্চলের রনিত ফার্মে তার বিয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তাজনিত তিনি এ বিয়েতে বাধা হতে চলেছেন।
কান জানিয়েছে, নেতানিয়াহু তার সহযোগীদের জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে এ আয়োজন করা হলে তা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা করে ইসরায়েল। এ সময় রাজধানী তেহরানের কাছে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা।
তবে তেহরানে এই হামলার সময় পাল্টা হামলার আশঙ্কায় বাংকারে লুকিয়ে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হায়োমের প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
বলা হয়েছে, ইরানে যখন হামলা হচ্ছিল, তখন তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে (বাংকার) ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট। ইরানে হামলা শুরুর পরপরই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন